মানুষকে গুনাহ করতে উৎসাহিত করে চার বিষয়

মানুষকে গুনাহ করতে উৎসাহিত করে চার বিষয়, যেমন – (১) একাকীত্ব, (২) যখন মানুষ ভাবে আমাকে কেউ দেখছেনা, (৩) মানুষ যখন গুনাহ করে সে ভাবে কেউ জানেনা (৪) মানুষ যখন বেপরুয়া হয় এবং ভাবে তার গুনাহের কোন সাক্ষী নেই। এই চারটি বিষয় মানুষকে গুনাহ করতে উৎসাহিত করে।

মানুষকে গুনাহ করতে উৎসাহিত করে চার বিষয়ের বিস্তারিত

একাকীত্বঃ মানুষ যখন একা হয় তখন তার নফস থাকে গুনাহ করতে উৎসাহিত করে, এইরকম প্রতিটা কথার জবাব আল্লাহ দিয়েছেন, মানুষ যখন চিন্তা করে আমি একটা-তখন আল্লাহ জবাব দিয়েছেন (ওহুয়া মায়াকুম আইনামা কুংতুম) বান্দা তুই একা নয়, তুই যেখানেই থাকস আমি তুর সাথে আছি। 

যখন মানুষ ভাবে আমাকে কেউ দেখছেনাঃ মানুষ যখন এটা চিন্তা করে আমাকে কেউ দেখছেনা, আল্লাহ বলেন আলাম ইয়ায়লাম বিয়ান্নাল্লাহা এরা – সে কি জানেনা আমি তাকাইয়া আছি। কেউ না দেখলেও আমি আল্লাহ নিশ্চই থাকে দেখি। এখন তাকানোর অনেক ধরন থাকে, যেমন অমনোযোগী ছাওয়া, আবারও আল্লাহ তার রাসুলকে বলেন হাবিব আমার ইন্না রাব্বাকা লাবিল মিরসাদ, শিখারি যখন শিখার করতে যায় তখন যেমন নিশ্বাস ফেললেও সাবধানে ফেলে, পা ফেললেও সাবধানে ফেলে ঠিক একি ভাবে আল্লাহ তার বান্ধার দিখে উত পেতে আছেন যেকোন সময় ক্ষাপ করে দরতে পারেন। 

আরও পড়ুনঃ ধৈর্যশীল হওয়ার উপায়

মানুষ যখন গুনাহ করে সে ভাবে কেউ জানেনাঃ তখন আল্লাহ বলেন ইয়ায়লামু খাইনাতাল আইউন, ওমা তুখফিস সুদুর – অরে বান্ধা তুর চোখ কোথায় কোথায় যায় আমি জানি, বাহিরে কি গুনাহ করিস সেটা টু নিশ্চই জানি, এমনকি বিতরে বিতরে কি কি কল্পনা করিস তাও জানি। 

মানুষ যখন বেপরুয়া হয় এবং ভাবে তার গুনাহের কোন সাক্ষী নেইঃ মানুষ যখন চিন্তা করে তার গুনাহের কোন সাক্ষী নেই তখনি আল্লাহ জবাব দেন ইন্না আখচাহু আলিমুন শাহীদ – কে তুমাকে কি করবে জাননা আল্লাহর দরা কিন্তু যন্ত্রণা দায়ক। আবারও অন্য আয়াতে বলে, ইন্না বাতসা রাব্বিকা লাশাদিদ – আল্লাহর দরা খুব কঠিন। বান্ধারে আল্লাহ যখন দরবে তখন ছাড়া পাবিনা। 

গুনাহ করার সময় একবার শুধু চিন্তা করুন আমাকে আল্লাহ দেখতেছেন, আল্লাহ শুধু দেখেন না আমি-আপনি যখন গুনাহ করি তখন আল্লাহ ডাকতেও থাকেন, কি বলে বান্ধাদের ডাকেন তাও কোরআন-এ উল্লেখ আছে, ইয়া আইয়ুহাল ইংসানু মা গাররাকা বিরাব্বিকাল কারিম – ও মানুষ ঐ কারিম রবের ব্যাপারে তুমারে কে দুখায় ফেলল। কারিম বলা হয় ঐ সত্ত্বাকে, জিনি না চাইতেই দেন। তুমি দেখনা মালিকের কত মায়া, হে ভাই আমি-আপনি যখন দরজা-জানালা বন্ধ করে বিতরে গুনাহ করি, নাফরমানি করি আল্লাহর। আল্লাহ চাইলেই তু তখন আজাব দিয়ে আমাকে-আপনাকে ধ্বংস করতে পারতেন। কিন্তু মালিকের কত মায়া দেখ ঐ অবস্তায়ও আল্লাহ তুমার ঘড়ের বীতর অক্সিজেন ব্রবাহিত করে তুমাকে-আমাকে বাছিয়ে রাখেন। 

গুনাহ ছাড়ার সহজ উপায়

গুনাহ ছাড়ার চারটি সহজ রাস্থা রয়েছে, (১) আল্লাহ ওয়ালাদের সাথে থাকা, (২) যত বিপদ দেখব সব আল্লাহর পরীক্ষা (৩) গুনাহ করার সময় মনে রাখতে হবে আল্লাহ আমাদের দেখতেছেন এবং ডাকতেছেন, (৪) আমার-আপনার প্রতিটা গুনাহের জন্য আটটি সাক্ষী দাঁড়াইয়া যাচ্ছে। 

প্রতিটা গুনাহের জন্য আটটি সাক্ষীঃ আমার-আপনার প্রতিটা গুনাহের জন্য আটটি সাক্ষী দাঁড়াইয়া যাচ্ছে, প্রতিটা সাক্ষী আমার-আপনার বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে সাক্ষী দিবে। 

আটটি সাক্ষী হলোঃ 

  • যেই জমিনে দারিয়ে গুনাহ করবেন সেই জমির আল্লাহর আদালতে আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবে, আল্লাহ বলেন হে বান্ধা তুমি যদি গুনাহ করতে চাও তাহলে আমার জমিনের বাহিরে চলে যাও, তখন আপনি জবান দিয়ে অশিক্ষার করতে চাইলে জবান বন্ধ করে দেওয়া হবে,
  • হাত সাক্ষী দিবে, আপনি যেই হাত দিয়ে গুনাহ করেছেন সেই হাত আল্লাহর আদালতে আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবে, 
  • পা সাক্ষী দিবে, যেই পা দিয়ে হেঁটে হেঁটে গন্তব্য স্থানে গিয়ে গুনাহ করেছেন সেই পা সাক্ষী দিবে, 
  • আল্লাহর আদালতে আপনার কান সাক্ষী দিবে আপনার বিরুদ্ধে, 
  • আপনার চোখ সাক্ষী দিবে, 
  • আপনার শরীরের চামড়া আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবে, যেই চামড়াকে এত পরিচর্যা করেছেন সেই চামড়া আপনার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে, চামড়া বলবে আমার কি দুস যেই আল্লাহ তুমাকে কথা বলার ক্ষমতা দিয়েছেন সেই আল্লাহ আমাকে কথা বলার শক্তি দিয়ে তুমার ব্যাপারে সাক্ষী দেওয়ার হুকুম করেছেন, 
  • কিরামাং, খাতিবিন নামের আরও দুই ফেরেশতা আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবেন, যারা সর্বদা আপনার ডান এবং বাম কাঁদে হিসাব লেখকের দায়িত্তে রয়েছে, 

শেষ কথা

মুসলমানের জিবনের মূল লক্ষ্য আল্লাহকে রাজি খুশি করা, এর জন্য অবশ্যই গুনাহ থেকে বেছে থাকতে হবে এবং আল্লাহর প্রিয় বান্ধা হওয়ার জন্য ভালো কাজ, আমল করতে হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *