নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে?

নতুন ভোটারদের শিক্ষার প্রমাণ, সনদ, পিতামাতার পরিচয়পত্র এবং নাগরিকত্বের প্রমাণ লাগবে। একজন নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে আরও জানুন।

যারা একটি নতুন ভোটার আইডি কার্ড পেতে চাইছেন তারা হয়তো ভাবছেন ভোটার আইডি কার্ড পেতে কী প্রয়োজন। এই ব্লগে, আমরা ভোটার বা জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছি।

নতুন ভোটার নিবন্ধন করার সময় ব্যক্তিটি বাংলাদেশের নাগরিক এবং তার সকল তথ্য সঠিক কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদনকারি পূর্বে থেকে ভোটার হলে নতুন করে আবেদন করতে পারবেন না।

আরও পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম

এনআইডি কার্ডের জন্য বেশ কিছু নথির প্রয়োজন হয়। তবে রোহিঙ্গা বসবাসকারী এলাকায় নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অতিরিক্ত নথির প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি লাগবে তা উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে জেনে নিবেন।

নতুন ভোটার বা ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করার জন্য কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন তা জেনে নিন।

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে

নতুন ভোটারদের জন্ম সনদ, শিক্ষা সনদ, বাবা-মায়ের এনআইডি এবং বাবা ছাড়া অন্য তিন রক্ত ​​আত্মীয়ের পরিচয়পত্রের কপি লাগবে।

এছাড়া ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ইউটিলিটি বিলের একটি কপি, সম্পত্তি ট্যাক্স সার্টিফিকেট, রক্ষণাবেক্ষণ কর সার্টিফিকেট বা চেয়ারম্যান বা কমিশনারের সার্টিফিকেট প্রয়োজন।

আরও পড়ুনঃ নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক

জন্ম নিবন্ধন সনদ

NID কার্ডের জন্য প্রথমে একটি ডিজিটাল জন্ম সনদ প্রয়োজন। জন্ম নিবন্ধনে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় তথ্য থাকতে হবে।

যদি আপনার জন্ম নিবন্ধনের তথ্য ইংরেজিতে না হয়, তাহলে আপনি সহজেই আবেদন করতে পারেন যে ইংরেজি তথ্য অনলাইনে যোগ করা হোক।

শিক্ষা সনদ

জন্ম নিবন্ধনের পর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি হল শিক্ষা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা শিক্ষা সনদ, অর্থাৎ এসএসসি বা এইচএসসি সার্টিফিকেট।

সার্টিফিকেটে অবশ্যই নাম, পিতা-মাতার নাম এবং জন্ম তারিখের সাথে মিল থাকা লাগবে। এই তথ্য ভুল হলে, আমরা আপনার NID কার্ড ইস্যু করতে সক্ষম হবেন না। 

কারও ডিগ্রি না থাকলে তার পরিবর্তে পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে। যদি তাও না থাকে, তাহলে শুধুমাত্র জন্ম নিবন্ধন যথেষ্ট।

আরও পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড

এখন থেকে, আপনাকে আপনার নতুন জাতীয় কার্ডের তথ্যে আপনার পিতা-মাতার NID নম্বর যোগ করতে হবে। তাই নতুন ভোটার হতে হলে বাবা-মায়ের NID কার্ড লাগবে।

আপনার বাবা এবং মা এনআইডি কার্ডের নাম আপনার সমস্ত নথি যেমন জন্ম সনদ এবং শিক্ষা সনদের সাথে মিলতে হবে। এছাড়াও, পিতা-মাতার মধ্যে কেউ একজন বা দুজনি মারা গেলে মৃত্যু প্রশংসাপত্র অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্ট

এনআইডি স্মার্ট কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রে রক্তের গ্রুপের তথ্য যোগ করতে হবে। অনুগ্রহ করে নিকটস্থ প্যাথলজি ক্লিনিকে আপনার রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করান।

রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্টের একটি ছবি বা স্ক্যান কপি অনলাইনে আপলোড করতে হবে এবং আবেদনের সাথে উপজেলা নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ স্মার্ট কার্ড হাড়িয়ে গেলে করনীয়

নাগরিক সনদ

একটি নতুন ভোটার আবেদন করার জন্য নাগরিক সনদ একটি প্রয়োজনীয় নথি। ইউনিয়ন অফিস বা পৌরসভার সদস্যের থেকে সংগ্রহ করা যাবে। এই সনদকে চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটও বলা হয়।

স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ড

আবেদনকারী যদি একজন বিবাহিত ভোটার হন, তাহলে আবেদনের সাথে স্বামী/স্ত্রীর পরিচয়পত্রের একটি কপি সংযুক্ত করতে হবে। আপনার বিবাহের সনদ বা কেবিনের একটি অনুলিপি দিতে হবে।

অঙ্গীকারনামা

ভোটার আইডেন্টিফিকেশন এফিডেভিট হল একটি লিখিত বিবৃতি যে আবেদনকারী আগে কোনো নির্বাচনী এলাকায় ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করেননি।

যদি দেখা যায় যে তিনি দ্বিতীয়বার ভোটার হচ্ছেন এবং তার সত্যতা প্রমানিত হয়, তাহলে তাহার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে, এবং তিনি শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকিবেন।

হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ

একটি নতুন জাতীয় কার্ডের জন্য আবেদন করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হল সম্পত্তি বা জমির খাজনার রশিদ।

হোল্ডিংয়ে তার বা-মায়ের নাম থাকলেই হবে, এক্ষেত্রে নতুন ভোটার আবেদনকারীর নাম থাকা জরুরী নয়।

ইউটিলিটি বিলের কপি

নতুন ভোটারদের আবেদনের সাথে ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে বিদ্যুৎ, পানি বা গ্যাস বিলের একটি কপি জমা দিতে হবে। বিলের পেপারে প্রার্থীর নিজের নামের পরিবর্তে তার বাবা-মা বা পরিবারের অন্য সদস্যের নাম উল্লেখ করা থাকলেও হবে। 

পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি

একটি আইডি কার্ড ইস্যু করার জন্য একটি পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন বাধ্যতামূলক নয়।

যদি একজন ব্যক্তির শিক্ষা না থাকে, যেমন একটি শিক্ষা নথি নেই, তাকে অবশ্যই তার পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের একটি অনুলিপি উপস্থাপন করতে হবে।

যদি আবেদনকারীর কাছে এই নথিগুলি না থাকে, তবে তিনি শুধুমাত্র অনলাইন জন্ম নিবন্ধন দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *